মো: হাচিবুর রহমান, কালিয়া (নড়াইল): নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সামাজিক নিরাপত্তা সহয়তার অর্থ স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের নামে আত্নসাৎ ও ইউপি সদস্যদের সাক্ষর জাল করার অভিযোগে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ মহিদুল ইসলামকে আটক করেছে।
কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জয়নগর পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলামের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের তদন্তকালে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। আটক ইউপি সচিব কে নড়াগাতি থানায় হস্থান্তর করা হয়।
অভিযোগের বিবারনে জানা যায়,জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা সহ নানাভাবে দুর্নিতী ও অনিয়ম করে অর্থ আত্নসাৎ করে আসছেন।ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুমি হস্থান্তর ফিসের টাকা, সরকারের নির্ধারিত উন্নয়ন কর্মকান্ড টিআর,কাবিখা,কাবিটা,কর্মসৃজন প্রকল্প ও এডিপির বরাদ্দকৃত অর্থ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আত্নসাৎ করেন তিনি।
এছাড়া ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে ৬ হাজার পরিবারের কাছে বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার প্লেট বিক্রয়ের ৬ লক্ষ টাকা, সরকারী করের টাকা, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভিজিডির সুবিধাভোগীদের জমাকৃত টাকা সহ সামাজিক নিরাপত্তা সহয়তার টাকা আত্নসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অভিযোগটির তদন্তভার কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুদার উপর দিলে তদন্ত শুরু করেন তিনি।
তদন্তকালে জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সহ ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে সামাজিক নিরাপত্তা সহয়তা, ভিজিডি,বিধবাভাতা,বয়স্কভাতা ও মাতৃত্বকালিন ভাতার টাকা পরিবারের সদস্য সহ স্বজনদের নামে আত্নসাতের প্রমান পাওয়া যায়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষনিকভাবে সচিব কে আটক করে পুলিশে দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য ওইসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে আমাকে হেও-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, তদন্তকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অই সময় ইউপি সচিব কে আটক করে নড়াগাতি থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।